নিউটাউনের মেয়ে মৌসুমি ব্রহ্ম। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কয়েক মাস আগে স্থানীয় এক যুবক হৃদয় মণ্ডল তার সঙ্গে আলাপ জমায়। মৌসুমিরও হয়তো মন্দ লাগেনি হৃদয়কে। ফলে বন্ধুত্ব। আর তা থেকেই এক সময়ে হৃদয়কে হৃদয় দিয়ে ফেলে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। চলছিল তাদের প্রেমপর্ব। স্থানীয়দের দাবি তাঁরাও জানতেন ওদের সম্পর্কের কথা। ফলে পাড়া থেকে একসময়ে মৌসুমির বাড়িতে পৌঁছয় সে খবর। বাবা-মা চাননি এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাক তাঁদের মেয়ে। অনেক বোঝানোর পর কাজও হয়। মৌসুমি হৃদয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা শুরু করে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে হৃদয়ের প্রেমিক চেহারার পিছনে লুকিয়ে থাকা ভয়ংকর রূপটা সামনে এসে পড়ে।
মৌসুমির পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করতে হৃদয় তাকে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করে। তাদের দুজনের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি সে প্রকাশ করে দেবে। এই চাপটা সহ্য করতে পারছিল না দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের দাবি, মেসেজ করত হৃদয়। আর তাতেই আসত ছবি ফাঁস করার হুমকি। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে দোলের দিন সকলের অলক্ষ্যে গভীর রাতে বাথরুমে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় মৌসুমি ব্রহ্ম। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এদিকে মৌসুমির পরিবারের তরফে হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।