জিডি বিড়লা, এম পি বিড়লা, কারমেল, কমলা গার্লস। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত এই স্কুলগুলির মধ্যে একটা বিষয়েই মিল। ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় ৪টি স্কুলই খবরের শিরোনামে সম্প্রতি উঠে এসেছে। সেই তালিকায় সংযোজিত হল আরও একটি নাম। আলিপুর মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুল। ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠতে হল কলকাতার নামকরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগের তির উঠেছে স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী রামেশ্বর সিংয়ের বিরুদ্ধে।
স্কুল পড়ুয়াদের দাবি, লজেন্স দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের নিজের কোয়ার্টারে ডাকত অভিযুক্ত। সারল্যের সুযোগ নিয়ে ছাত্রীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত সে। ২০১৫ সালে এই অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, সেইসময় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারপর বেশ কিছুদিনের জন্য চুপচাপ ছিল স্কুলের দারোয়ান। ছাত্রীদের অভিভাবকদের দাবি, কয়েকদিন আগে ফের ছাত্রীদের লজেন্সের লোভ দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করা শুরু করে অভিযুক্ত রামেশ্বর সিং। গত বুধবার তার লালসার শিকার হয় স্কুলের এক ছাত্রী। ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে মা-বাবাকে সেকথা জানায়। তার অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে সব কথা খুলে বলেন। অভিযোগ, এবারেও নিগৃহীতা ছাত্রীর মা-বাবার কথা কানে তুলতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। প্রমাণ নেই। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করেন তিনি। এরপরেই স্কুলের ভিতর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উত্তেজিত অভিভাবকরা।
স্কুলের পিছনের কোয়ার্টার থেকে টেনে বার করে আনা হয় দারোয়ানকে। অভিযুক্ত দারোয়ান ও তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করেন অভিভাবকরা। পরে আলিপুর থানার পুলিশ এলে তাদের হাতে দারোয়ানকে তুলে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে অভিভাবকদের মারে অসুস্থ হয়ে পড়েন দারোয়ানের স্ত্রী। মাকে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের রোষের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেতে হয় অভিযুক্তের মেয়েকেও।