
মাধ্যমিকে নিরাশ করলেও সেই আক্ষেপ সুদে আসলে পুষিয়ে দিল উচ্চমাধ্যমিক। মাধ্যমিকে কলকাতার একজনও প্রথম ১০-এ স্থান পায়নি। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থানটাই পকেটে পুরল কলকাতা। কলকাতার পঞ্চসায়র শিক্ষা নিকেতনের ছাত্র স্বাগতম হালদার ৪৯৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। স্বাগতমের চেয়ে ৩ নম্বর কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৩ জন। ৪৯২ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের সঞ্জয় সরকার, কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের নভোনীল দেব ও বালুরঘাট হাইস্কুলের স্বর্ণাভ নন্দী। ৪৯০ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরামবাগ গার্লস হাইস্কুলের নীলাঞ্জনা সাহা। নীলাঞ্জনার এই কৃতিত্বকে একদম অন্যচোখে দেখছেন শিক্ষাবিদরা। কারণ নীলাঞ্জনা আর্টস বা কলা বিভাগের ছাত্রী। সাধারণত কলা বিভাগের কোনও বিষয়েই ভাল নম্বর তোলা কঠিন কাজ। সেখানে কলা বিষয়ক বিষয় নিয়েও ৯৮ শতাংশ নম্বর পাওয়া এক ঐতিহাসিক কৃতিত্ব বলেই মনে করছেন অনেক শিক্ষাবিদ। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ৩ জন। ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ হাইস্কুলের দীপ্তেশ লালা, শমীক মজুমদার সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুল, দেবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বাঁকুড়া জেলা স্কুল। ৪৮৮ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঋদ্ধ ঘোষ, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল, ঋত্বিক পাল, ভাতার এমপি হাইস্কুল, নির্মাল্য ব্রহ্ম উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাইস্কুল, সৌমদ্বীপ দাস কলকাতার সেন্ট লরেন্স হাইস্কুল, অমর্ত্য চৌধুরী কলকাতার সেন্ট লরেন্স হাইস্কুল। এছাড়া ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে ৩ জন, সপ্তম স্থানে রয়েছে ৫ জন, অষ্টম স্থানে রয়েছে ১৪ জন, নবম স্থানে রয়েছে ৫ জন, দশম স্থানে রয়েছে ১২ জন। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মাধ্যমিকের মত উচ্চমাধ্যমিকেও পূর্ব মেদিনীপুরের পাশের হার সবচেয়ে বেশি।