তাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে সামি সব জানতেন। তাঁর যে ২টি মেয়ে আছে তাও তাঁর জানা ছিল। তিনি যে অফিসে কাজ করতেন সেখানেও এসেছেন সামি। সব জেনেই তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন সামি। এমনকি যে সিউড়িতে তাঁর ডিভোর্সের মামলা চলছিল সেখানেও শুনানির দিনে বেশ কয়েকবার তাঁকে সামিই গাড়ি করে নিয়ে যান। এখন নিজেকে বাঁচানোর জন্য কথা ঘোরাচ্ছেন। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করলেন মহম্মদ সামির স্ত্রী হাসিন জাহান। তাঁর দাবি, তিনি চেয়েও ছিলেন যে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে তাঁকে ডিভোর্সি হিসাবে দেখানো হোক। কিন্তু মহম্মদ সামি চাননি। বাড়িতে সমস্যা হতে পারে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেন সামিই। প্রথমে সামি তাঁর পরিবারকে হাসিনের আগের বিয়ে নিয়ে কিছুই বলেননি। কিন্তু পরে তাঁদের পড়শি এক মহিলার কাছ থেকে সামির পরিবার বিয়ের আগেই হাসিনের অতীতের বিয়ে ও ২ সন্তানের বিষয়ে সব জেনে যান। শনিবার হাসিন দাবি করেন, তিনি কখনই বিয়ের পর নিজেকে সেলেব্রিটির স্ত্রী হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেননি। বরং বাড়ির বউ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। তাঁর দাবি বাড়ির রান্না করা, বাসন মাজা, বড়দের সেবা করা, সবই তিনি করেছেন।
সামি কী বিয়ের পর থেকেই তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু করেছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে হাসিনের দাবি, বিয়ের পর সামি যথেষ্ট দায়িত্ববান স্বামীর পরিচয় দিয়েছিলেন। সব ঠিকঠাক এগোচ্ছিল। কিন্তু পরে বিভিন্ন শহরে সামি একাধিক মহিলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া, অশান্তি। তারপর একসময়ে এসে সামি তাঁর কাছে ডিভোর্স চান।
হাসিন এদিন জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের তরফে তাঁর করা অভিযোগ নিয়ে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরাসরি তাঁর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনও আধিকারিকের কথা হয়নি। ভারতের কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন খেলোয়াড় সামিরই পাশে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হাসিন জাহান দাবি করেন, তাঁরা সামির মুখোশের আড়ালের মুখটাই দেখেছেন। কিন্তু তিনি সামির সঙ্গে ঘর করেছেন। ফলে তাঁর সামির আসল চেহারাটা জানা হয়ে গেছে।