খিদিরপুরের বাসিন্দা মোশারফ আলি স্নায়ুর অসুখ নিয়ে নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রগতি ময়দান থানা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে বছর ৫৪-র ওই ব্যক্তিকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ হাসপাতাল থেকে ফোন আসে তাঁদের কাছে। তাঁদেরকে অসুস্থ মোশারফ আলির অবস্থার অবনতির কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে এসে রোগীকে মরণাপন্ন অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। অথচ হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসকের দেখা মেলেনি বলে দাবি রোগীর পরিবারের। এর কিছুক্ষণ পর রোগীর মৃত্যু হলে হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খালি কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়েছে। অথচ রোগীকে সুস্থ করে তোলার মত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মৃতের বাড়ির লোকের দাবি মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তাঁদের পাল্টা দাবি, রোগীর মৃত্যুতে উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে রোগীর পরিবার। মারধর করা হয়েছে চিকিৎসকদেরকেও। তাই ভয়ে বাকি চিকিৎসকরা হাসপাতালমুখো হননি। যদিও হাসপাতালে ভাঙচুর বা চিকিৎসককে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন মৃতের আত্মীয়রা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।