ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছিল। তার ওপর ব্যাঙ্ক থেকে বারবার তাগাদা আসছিল দেনা মেটানোর জন্য। মাঝে মাঝেই বাউন্সাররা এসে ধারের টাকা শোধ করে দেওয়ার দাবিতে চড়াও হত বাড়িতে। বিপুল পরিমাণ ঋণের জন্য বেশ কয়েকবার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, ঋণের বোঝা শোধ করতে পারবেন না তিনি এবং তাঁর ২ ছেলে, সে কথা বুঝতে পেরেছিলেন দক্ষিণ কলকাতা নিবাসী স্বাতী দেবী। সেই আশঙ্কায় সোমবার রাতে বিষ খেয়ে সপরিবারে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বছর ৬৫-র প্রৌঢ়া।
যাদবপুর ইব্রাহিমপুর রোড এলাকায় ২ ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বৃদ্ধা। তাঁর পরিচিতদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে অনেক ডাকাডাকির পর বৃদ্ধা বা তাঁর ছেলেরা দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাঁদের। বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর ২ ছেলেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করেন প্রতিবেশিরা। খবর দেওয়া হয় যাদবপুর থানায়। ৩ জনকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধার ছোট ছেলে অরিজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। প্রৌঢ়া ও তাঁর বড় ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।