পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের ঘোষিত দিনক্ষণ শেষ হয়েছে গত সোমবার। কিন্তু রাত ৯টা নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে জানান হয় মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা ১ দিন বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। যেমনভাবে এসডিও ও বিডিও অফিসে মনোনয়ন দাখিল হচ্ছিল, তেমনভাবেই ইচ্ছুক প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন।
এই খবরে স্বভাবতই বিরোধী শিবিরে খুশির হাওয়া বয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁরা মনোনয়ন দাখিলের জন্য এসডিও ও বিডিও অফিসে হাজির হতে শুরু করেন। এই অবস্থায় ফের এদিন সকালে কমিশনের তরফে আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান হয়, এদিন কোনও মনোনয়ন দাখিল করা যাবে না। আইনি জটিলতার কারণে আগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফের তৈরি হয় বিভ্রান্তি। অনেক প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করতে এসেও বাধ্য হয়ে ফিরে যান।
নির্বাচন কমিশনের এমন রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে অখুশি বিরোধীরা। তাঁদের দাবি তৃণমূলই চাপ সৃষ্টি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত বদলে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে পাল্টা দাবি করা হয় বিরোধীরাই নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিয়ে মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়েছিল। যা কার্যত বেআইনি।