বামেদের ডাকা বন্ধে অখুশি ব্যবসায়িক মহল। বিশেষত চৈত্র সেলের প্রায় শেষলগ্ন এখন। আগামী রবিবার বাংলা নববর্ষ। শনিবারই চৈত্রের শেষ। সংক্রান্তি। তার আগে শুক্রবার শেষ লগ্নের চৈত্র সেলের বাজারে একটা চাঙ্গাভাব থাকবে বলেই মনে করছেন অনেক বিক্রেতা। তাছাড়া নববর্ষের মত এমন একটা উৎসবের দিনের মাত্র ২ দিন আগে এভাবে বন্ধ মেনে নিতে পারছেন না ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ।
যেমন বড়বাজার ও পোস্তা শুক্রবার সম্পূর্ণ খোলা থাকবে বলে জানিয়ে দিলেন কো-অর্ডিনেশন কমিটি অফ বড়বাজার পোস্তা বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক তাপস মুখোপাধ্যায়। তাপসবাবুর বক্তব্য এভাবে বাংলা নববর্ষের আগে বন্ধ হলে ব্যবসায়ীদের সমূহ ক্ষতি। তাই তাঁরা এই বন্ধ মানছেন না। শুক্রবার সম্পূর্ণ খোলা থাকবে বড়বাজার ও পোস্তা বাজার। কাজ হবে অন্যান্য সাধারণ দিনের মতই। বন্ধ করানোর কোনও চেষ্টা হলে যে তাঁরা তা মেনে নেবেন না তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তাপসবাবু।
কলকাতার শ্যামবাজার, হাতিবাগান হোক বা দক্ষিণের গড়িয়াহাট। সর্বত্রই চৈত্র সেলের বাজার তুঙ্গে। এই অবস্থায় চৈত্র সেলের শেষ মুহুর্তে বন্ধ মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ফলে বিক্রেতাদের মধ্যে একটা অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। তাঁদের দাবি, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রবল গরম। তখন বিক্রিবাটা তেমন থাকেনা। ব্যবসাটা হয় এই চৈত্রেই। সেই চৈত্র সেলের বাজারের মাঝে বন্ধ কখনই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। অনেক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেই জানা গেছে তাঁরা অন্যান্য দিনের মতই শুক্রবার দোকানপাট খোলা রাখবেন।