
সকাল থেকে মেঘ রোদের খেলা চললেও দুপুরে এমন তাণ্ডব আঁচ করতে পারেননি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গবাসী। ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় এদিন কার্যত গোটা দক্ষিণবঙ্গটাকেই লণ্ডভণ্ড করে দেয়। বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গও। কালবৈশাখী ঝড়ে সিউড়িতে গাছ পড়ে মৃত্যু হয় ১ জনের। সল্টলেকে নিক্কোপার্কের কাছে গাছ পড়ে আহত হন ১ জন। ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছ থেকে বাড়ির চাল, ল্যাম্প পোস্ট থেকে ট্রাফিক সিগনাল উপড়ে পড়েছে। ঝড়ের হাত ধরে আসা বৃষ্টি অবশ্য কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত প্রচণ্ড গরম আর প্যাচপ্যাচে ঘামে কার্যত হতোদ্যম হয়ে পড়ছিলেন শহরবাসী। অস্বস্তি থেকে রেহাই পেতে দ্রুত কাজ সেরে অফিস বা বাড়িতে ঢুকে পড়তে ব্যস্ত ছিল শহর। দুপুর পর্যন্ত এই অবস্থা চলার পর আচমকাই আকাশ মেঘে ছাইতে শুরু করে। সঙ্গে বইতে শুরু করে ঠান্ডা ঝোড়ো বাতাস। সেই বাতাসই নিমেষে ঝড়ের আকার নেয়। ঝড় চলে বেশ কিছুক্ষণ। গোটা রাজ্য জুড়ে এই ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঝড় যত হয়েছে বৃষ্টির সঙ্গত তার সঙ্গে মানানসই ছিলনা। বৃষ্টি হয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কম। তবে আরও বৃষ্টি অপেক্ষা করে আছে বলেই আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস।