৩ দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত বাতিল। পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে ১ দফায়। আগামী ১৪ মে হবে ভোটগ্রহণ। জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারের তরফে ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পাঠান হয়। সেই প্রস্তাব কার্যত মেনে নিল কমিশন। তবে রাজ্য সরকার চেয়েছিল ১৬ মে ভোটগণনা। কিন্তু কমিশন তা মানেনি। ওদিন পুনর্নির্বাচনের দিন ধার্য করেছে কমিশন। ১৭ মে ভোটগণনার সম্ভাবনা প্রবল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেকথা জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বর্ষা ও রমজান মাসের বিষয়টি ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশে মাথায় রাখা হয়েছে বলে কমিশনের তরফে জানান হয়েছে। আগামী ১৪ মে ভোটগ্রহণ করা হবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে।
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ৫৮ হাজারের কিছু বেশি বুথে একই দিনে ভোটগ্রহণ। সেক্ষেত্রে পুলিশি নিরাপত্তা কতটা দেওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, একদিনে এত পুলিশি বন্দোবস্ত করতে হলে বুথ পিছু ১ জন করে পুলিশ মোতায়েন করা যাবে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হবে রাজ্য সরকারকেই। এতো গেল ফোর্সের জটিলতা। অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বুথ পিছু যে পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা বলেছিলেন, তাও একদিনে ভোট হলে সম্ভব হবেনা বলেই দাবি বিরোধীদের। অন্যদিকে বামফ্রন্টের তরফে দাবি করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই একতরফা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একদিনে ভোট করে রাজ্য সরকার রক্তাক্ত নির্বাচন চাইছে বলে দাবি করেছেন তিনি।