সোমবার সকালে প্রবল বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা। সঙ্গে প্রবল ঝড়। শুধু কলকাতা বলে নয়, ঝড় হয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনায়। এদিন বজ্রপাতও হয় ঘনঘন। বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ৭ জনের। যারমধ্যে নদিয়ায় ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ২ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছে ১ কৃষকের।
সোমবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। ভোর থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে মালদা সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। তারপর শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। অনেক জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়। প্রবল ঝড় সঙ্গে শিলাবৃষ্টির জেরে আম চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন চাষিরা। এদিন বেলা বাড়তেই কলকাতার আকাশও কালো মেঘে ঢেকে যায়। সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঝড়। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপরই নামে প্রবল বৃষ্টি। বেলা পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। যদিও দুপুরের দিকে ফের রোদের দেখা মিলেছে। তবে সকালের টানা বৃষ্টিতে বৈশাখের কষ্টটা ছিলনা। বরং ঠান্ডা হাওয়া বয়েছে শহরের রাস্তায়।
এখানেই শেষ নয়। সকালে রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। সন্ধের পরও কলকাতায় প্রবল ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। ঝড়ের গতি থাকতে পারে ৬০ কিলোমিটারের আশপাশে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।