দুপুরেই সতর্ক করেছিল আবহাওয়া দফতর। কলকাতার দিকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়। পূর্বাভাসে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছিলেন শহরবাসী। যত সময় গড়িয়েছে, ততই শহরবাসী তটস্থ হয়েছেন। এই বুঝি তেড়ে এল দানব ঝড়। কিন্তু সন্ধে গড়াতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তাঁরা। হাওয়া অফিস জানিয়ে দিল ঝড় আর কলকাতা বা তার আশপাশের জেলাগুলির ওপর আছড়ে পড়ছে না। ঝড় মুখ ঘুরিয়ে পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশের দিকে। ফলে এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন শহরবাসী।
বুধবার সকালেই মালদা সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা এবং মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দুই বর্ধমান ও নদিয়ায় তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। মালদা, মুর্শিদাবাদে প্রবল ঝড়ও বয়ে গেছে। ঝড়ের গতি ছিল প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ঝড়ের সঙ্গে অঝোর ধারায় সকালেই কাকভেজা ভিজেছে জেলাগুলি। বাজও পড়েছে মুহুর্মুহু। এদিন বজ্রাঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলের দিকে হুগলিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।
দেশের পশ্চিমভাগ থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পূর্বের মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। যার প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে থেকেই যাচ্ছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। ফলে গ্রীষ্মের দাবদাহ যাকে বলে, তা থেকে আপাতত দিন কয়েক রেহাই পাবেন রাজ্যবাসী।