
সকালে হাঁটতে বেরিয়ে রাস্তার ওপর কোনও কিশোরীকে রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখার পর দিনের শুরুটা ভালো হয়েছে, এমন দাবি অন্তত কেউ করতে পারবেন না। ঠিক যেমনটা এখন করতে পারছেন না দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিনের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে ঐ এলাকার একটি আবাসনের সামনে এক কিশোরীকে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠেন এলাকার কয়েকজন পথচারী। কিশোরীর মুখ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছিল। পরনের জামাকাপড় ছেঁড়া। প্যান্ট ভিজে গেছে রক্তে। কপালে, হাতে আঘাতের চিহ্ন। পাশেই পড়ে রয়েছে চেন, লকেট, ভাঙা ক্লিপ ও স্কুল ব্যাগ।
আবাসন চত্বরে কিশোরীকে এভাবে পড়ে থাকতে দেখে সকালবেলা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়৷ ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সংজ্ঞাহীন কিশোরীকে উদ্ধার করে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিশোরীর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আপাতত তার বয়ান রেকর্ড করতে পারেনি পুলিশ। কিশোরী সুস্থ হয়ে উঠলে রহস্যের জট ছাড়াতে সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে তদন্ত থেমে নেই। যে আবাসন চত্বর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
কিশোরীর পরিবারের দাবি, গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বিকেলে বাড়ি ফেরেনি নবম শ্রেণির ঐ ছাত্রী৷ সন্ধ্যা অবধি বাড়ি না ফেরায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশের অনুমান, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সম্ভবত কিশোরীকে মাঝপথে কেউ অপহরণ করে। তারপর তাকে ধর্ষণ করে মাঝরাতে গল্ফগ্রিনের ঐ শুনশান এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়। কিশোরী সুস্থ হলে ও যাবতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে পুরো বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।