সারাটা সপ্তাহ হব হব করেও শেষ মুহুর্তে হতাশ করেছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টি হয়নি। অথবা হয়েছে ছিটেফোঁটা। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলো বিভিন্ন সময়ে প্রবল ঝড় বৃষ্টি পেলেও চাতকের মত অপেক্ষা করছিল কলকাতা। সেই কলকাতাবাসীর ছুটির রবিবার অবশেষে ভরপুর খুশিতে ভরে দিল অঝোর ধারাপাত। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতায় ছিল গুমোট ভাব। ঘামও ঝরেছে। তবে আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। অন্যান্য দিনের মতই। অবশেষে বেলা গড়াতেই ক্রমশ জমাট মেঘে আকাশ ছাইতে শুরু করে। কালো হতে থাকে আকাশ। গুড়গুড় শব্দ আর বিদ্যুতের ঝলকানি যখন শুরু হল তখন বাড়ি বাড়ি রান্নাবান্না শেষ। স্নান সেরে খেতে বসার তোড়জোড় চলছে। অনেকে পাড়ায় বা ক্লাবে আড্ডা দিয়ে সবে বাড়ি ফিরেছেন। তেমনই এক আলসে ভরপুর ছুটির ভরদুপুরে বড় বড় ফোঁটায় শুরু হয় বৃষ্টি। বাড়তে থাকে বৃষ্টির তেজ। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া।
বৃষ্টি শুরু হতেই ভেজা ঠান্ডা হাওয়ায় শহরবাসীর মন ভরে যায়। একটা তোফা আলসে দুপুর যে তাঁদের জন্য পথ চেয়ে আছে তা ভেবেই মন আনন্দে ভরে ওঠে। এদিকে বৃষ্টির তেজ ক্রমশ প্রবল হতে থাকে। সঙ্গে আকাশে মেঘের কৃষ্ণকালো রূপ শহর জুড়ে নামিয়ে আনে অকাল সন্ধে। যে সময়ে প্রখর রোদে ঘরবন্দি থাকেন মানুষজন। তখন ঘরের আলো নেভালে ঘরের জিনিসই ভাল করে দেখা যাচ্ছিলনা। কালো অন্ধকার মেঘে জানালার বাইরে তখন বৃষ্টির একটানা শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছেনা।
রবিবার শহরে বৃষ্টি কিন্তু একটানা চলেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। বৃষ্টির জেরে অনেক রাস্তায় জল জমে যায়। বিকেল ৪টে নাগাদ বৃষ্টি কমে আসে। কিন্তু ততক্ষণে গোটা শহরটার তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটা নেমে গেছে। সঙ্গে বইছে দারুণ ঠান্ডা হাওয়া। সপ্তাহ শেষে এমন দুরন্ত বৃষ্টিতে শহরবাসীর আলসে মেজাজ তখন আশকারা পেয়ে বিছানার কোণে আলতো করে জায়গা করে নিয়েছে। এদিন কলকাতা সহ আশপাশের অনেক জায়গাতেই বৃষ্টি হয়েছে।