মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে বিগত কয়েক বছর ধরেই জেলার স্কুলগুলি দুরন্ত ফলাফল করছে। তুলনায় কলকাতা অনেকটাই ম্লান। জেলার ছাত্রছাত্রীরাই অধিকাংশ প্রথমসারির নম্বর প্রাপক হয়ে উঠছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলনা।
শুক্রবার বার হল উচ্চমাধ্যমিকের ফল। আর তাতে ফের জেলার ফলাফল চোখে পড়ার মত। অন্যদিকে ১৮টি জেলায় সার্বিকভাবে মেয়েদের ফল ছেলেদের চেয়ে ভাল। উচ্চমাধ্যমিকে এবার পাশের হার ৮৩.৭৫ শতাংশ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৮ দিনের মাথায় এবার ফলাফল প্রকাশ করতে সমর্থ হল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চমাধ্যমিকে সাধারণত বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা প্রথম স্থান দখল করে। এটা প্রচলিত ধারণাও যে কলা বিভাগের চেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে নম্বর অনেক বেশি ওঠে। কিন্তু এবার কলা বিভাগ থেকেই উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারী উঠে এল।
এবার প্রথম স্থান দখল করেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্ত। গ্রন্থন মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৪৯৬ নম্বর। সব মিলিয়ে তার মাত্র ৪ নম্বর কাটা গেছে।
উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে তমলুকের হ্যামিলটন হাইস্কুলের ছাত্র ঋত্বিক কুমার সাহু। বিজ্ঞান বিভাগের এই কৃতী ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। প্রথম স্থানাধিকারীর সঙ্গে নম্বরের ব্যবধান ৩ নম্বরের। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ২ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের শাশ্বত রায় ও বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলের তিমিরবরণ দাস। এরা ২ জনেই পেয়েছে ৪৯০ নম্বর। চতুর্থ স্থান দখল করেছে ৬ জন। পঞ্চম স্থানে অন্যদের সঙ্গে রয়েছে ২ ছাত্রী।
৪৮৬ নম্বর পেয়ে মেয়েদের মধ্যে এবার উচ্চমাধ্যমিকে যুগ্ম প্রথম হয়েছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ হাইস্কুলের ছাত্রী অনিমা গড়াই ও যাদবপুর বিদ্যাপীঠের অভ্রদীপ্তা ঘোষ।