আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষা আসেনি। যা হচ্ছে তা প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ অবশ্য ২-১ দিনের মধ্যেই বর্ষাকে এনে হাজির করবে পশ্চিমবঙ্গে। অন্তত আবহবিদদের তেমনই পূর্বাভাস। তার আগে এদিন নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে বানভাসি কলকাতার বেশ কিছু জায়গা। বিধান সরণির অনেক জায়গায় এদিন জল দাঁড়িয়ে যায়। জল দাঁড়ায় আমহার্স্ট স্ট্রিটেও। এছাড়াও অনেক রাস্তায় কমবেশি জল দাঁড়ায়। কিন্তু বৃষ্টি যে অনেক হয়েছে তা কিন্তু নয়। শনিবার সকালের দিকে কড়া রোদ থাকলেও প্রত্যেক দিন যেমন হচ্ছে বেলা গড়ালেই আকাশে মেঘের সঞ্চার হচ্ছে। এদিনও তাই হয়। ক্রমশ আকাশ কালো করে আসে। দুপুর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। অঝোর বর্ষণ হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কোথাও আধঘণ্টা, কোথাও ১৫ মিনিট, কোথাও আবার ১০ মিনিট হয়েই থেমে গেছে বৃষ্টি। কিন্তু এই বৃষ্টিতেই হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায় ঠনঠনিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায়।
এদিন সন্ধেয় আরও বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এই বৃষ্টিও তেমন কিছুই নয়। যদি পূর্বাভাস মেলে তবে কিন্তু বর্ষার আগেই বেহাল হতে চলেছে তিলোত্তমার অবস্থা। এদিন অবশ্য শনিবার হওয়ায় অনেক অফিস ছুটি। ফলে বিকেলে কর্মস্থল থেকে ফেরা নিয়ে প্রবল সমস্যার পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা ছিল কম। তবে যাঁরা এদিন দুপুরে বিভিন্ন কারণে রাস্তায় বার হন তাঁদের প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ বৃষ্টির কারণে অনেক রাস্তায় যানবাহনের গতি ছিল শ্লথ।
এদিন শুধু কলকাতা বলেই নয়, আশপাশের জেলাগুলিতেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধের দিকে সেখানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। গত শুক্রবারও কলকাতায় বিকেলে ভাল বৃষ্টি হয়। টানা বৃষ্টিতে প্রবল গরম না থাকলেও প্রবল অস্বস্তি কিন্তু যথেষ্ট বজায় রয়েছে। ঘাম ঝরছে দেদার।