বৃষ্টি শুরু হয়েছে রবিবার দুপুর থেকে। সেই বৃষ্টি কখনও একটু থেমেছে। আবার কখনও ঝরঝর করে এসেছে। মধ্যরাতে বা সোমবার ভোরে তেমন একটা বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু তারপর থেকেই আকাশ কালো করে মেঘ জমে। নামে বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টি চলতে থাকে। যার জেরে সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসেই সকাল থেকে জল থৈথৈ কলকাতার রাজপথ। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া থেকে শুরু করে বাইপাসের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, দক্ষিণ কলকাতার একটা বড় অংশ, বেহালার বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হন অফিসযাত্রীরা। কাঁকুড়গাছি, দমদম, উল্টোডাঙা আন্ডারপাসে জল জমে যায়। অনেক রাস্তায় জল থাকায় সকাল থেকেই গাড়ি আস্তে চলেছে। অনেক রাস্তায় জল জমে থাকায় রিক্সা বা টোটো অস্বাভাবিক ভাড়া হেঁকেছে। দুপুরের পর বড় ধরণের বৃষ্টি না হওয়ায় অবশ্য অনেক রাস্তায় জল নামতে শুরু করে। এদিকে বৃষ্টির প্রভাব এদিন পড়েছে শিয়ালদহ এবং হাওড়া লাইনে। লোকাল ট্রেন ধীরে চলেছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। যার জেরেই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি। বৃষ্টি এখনও ৪৮ ঘণ্টা চলবে বলেই পূর্বাভাস। কলকাতা তো বটেই কলকাতার আশপাশের জেলাগুলিতেও এদিন প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বনগাঁ, বসিরহাটে মাঠে কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়ে ২ জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় এদিন প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলাতেও। সেখানেও প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল মানুষজন। গত সপ্তাহের সোমবার কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪১ ডিগ্রি। আর তার পরের সোমবার প্রবল বৃষ্টিতে কলকাতার অনেক জায়গায় জলের তলায়। আষাঢ়েই শ্রাবণের ধারাপাতে কাজে বেরিয়ে সমস্যায় মানুষজন।