মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী পরিস্কার করে দিয়েছেন কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনওভাবেই টাকার খেলা বরদাস্ত করা হবেনা। সে বিষয়ে ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। ধরপাকড়ও চলছে। গত মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন কাউন্সিলিং বা ভেরিফিকেশন করারও দরকার নেই। সরাসরি অনলাইনে ভর্তি হবে ছাত্রছাত্রীরা। কলেজে সশরীরে আসার প্রয়োজন নেই। যা ভেরিফিকেশন সব ভর্তি হয়ে ক্লাসে যোগ দেওয়ার পর হবে। কিন্তু এত কিছুর পরও বিভ্রান্তি কাটছে না। ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জমা হচ্ছে চরম অসন্তোষ। অন্তত এদিন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পর একথা পরিস্কার।
ওয়েবসাইটে কাউন্সিলিংয়ের লিস্টে নাম দেখে এদিন সকালে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে হাজির হয় বহু ছাত্রছাত্রী। কিন্তু তাদের দাবি, গেটেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় এদিন কোনও কাউন্সিলিং নেই। পরে তাদের সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে আবার ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই জানেন আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৬ জুলাই কলেজে ভর্তি শেষ দিন। হাতে আর ২ দিন। এখন তাদের প্রশ্ন আজ তাদের বলা হচ্ছে পরে জানানো হবে। শেষ দিন পেরিয়ে গেলে যদি তারা ভর্তিই না হতে পারে? সেই আতঙ্কই এদিন পেয়ে বসে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে জড়ো হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মনে। কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। তাদের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিস্কার করে তাদের কিছু জানাচ্ছেন না। ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে তারা। অনেকের প্রশ্ন তাদের কী তবে বছরটাই নষ্ট হয়ে যাবে? এদিকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে বিক্ষোভের খবর পেয়ে সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাজির হন কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমার। আসেন ডিসি সেন্ট্রালও।