বেলা তখন দেড়টা। রাজভবনের কার্জন পার্কের সামনের গেট সহ ময়দানের দিকের গেটের সামনে আচমকাই কয়েকজন স্লোগান দিতে দিতে হাজির হলেন। ক্রমশ ভিড় বাড়ল। এসইউসিআই-এর ব্যানার হাতে কয়েকজন চড়ে পড়লেন রাজভবনের বন্ধ গেটে। সেখানে টাঙিয়ে দিলেন নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার। শুরু হল স্লোগান। এদিন সবচেয়ে বড় জমায়েতটা হয় কার্জন পার্কের সামনের গেটে। রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। একদিকে ডালহৌসির দিক থেকে আসা বাস থমকে যায়। থমকে যায় রাজভবনের সামনে দিয়ে ধর্মতলামুখী বাস-গাড়ি। প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ ফেল ফেরানোর দাবিতে এসইউসিআইয়ের এই বিক্ষোভ ক্রমশ জমাট বাঁধতে শুরু করে। ছোট ছোট দল হয়ে রাস্তার কোণায় কোণায় থেকে রাস্তার মাঝখানে চক্কর দিতে দিতে চলতে থাকে স্লোগান। এমন প্রায় মিনিট ২০ চলার পর সেখানে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। হাজির হয় প্রিজন ভ্যান, কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্স।
এরপরই কিছুক্ষণ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ শুরু করে। অনড় বিক্ষোভকারীদের রাস্তার ওপরই টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয়। এসইউসি-র মহিলা কর্মীরাও অনড় অবস্থান নিয়ে স্লোগান চালাতে থাকায় তাঁদেরও কাউকে টেনে কাউকে পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তোলা হয়। অবস্থা উত্তাল চেহারা নেয়। ৩টি প্রিজন ভ্যান ও ১টি বাস মিলিয়ে বহু এসইউসি বিক্ষোভকারীকে এদিন আটক করে পুলিশ। সওয়া ২টো নাগাদ অবস্থা আয়ত্তে আসে। রাস্তায় পড়ে তখনও এসইউসি-র দাবি সম্বলিত ছোট ছোট ফ্লেক্সের ছেঁড়া টুকরো। অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের শুরু হয় যান চলাচল।