নব কলেবরে হাতে হাতে ফিরছে বড় ছাতা
ব্যস্ত জীবনে বড় ছাতা সামলানো মুশকিল। ফলে সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে পারল না বড় ছাতা। তবে প্রয়োজন নব কলেবরে ফিরিয়ে আনছে বড় ছাতাকে।
এক সময় ছিল বড় ছাতার কদর। তখন অবশ্য তা ছাড়া উপায়ও ছিলনা। কারণ ছোট ফোল্ডিং ছাতা বলে তখন কিছু ছিলনা। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ব্যস্ততা। আর ব্যস্ত জীবনে বড় ছাতা সামলে সারাদিন কাজ করা মুশকিল। ফলে সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে পারল না বড় ছাতা।
মানুষের প্রয়োজন বুঝে বাজারে এল ছোট ছাতা বা ফোল্ডিং ছাতা। এল থ্রি ফোল্ডের ছাতাও। যা গুটিয়ে নিলে নিশ্চিন্তে সেঁধিয়ে যেতে পারে একটা ছোট ভ্যানিটি ব্যাগে। সুবিধা হল বটে কিন্তু বহরে ছোট এসব ছাতা ঝেঁপে বৃষ্টি হলে শরীর ঢাকতে অপারগ।
ছোট বহরের জন্য ছাতা দিয়ে মাথা ঢাকা গেলেও তা দিয়ে পুরো শরীরকে বৃষ্টির জল থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। এই সমস্যাই আবার বাজারে নব কলেবরে ফিরিয়ে আনছে বড় ছাতাকে। এ ছাতাকে ফোল্ড করা যায়না। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে না।
সম্প্রতি বাজারে দেখা মিলছে এমন বড় ছাতার। দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। আগে হত কালো ছাতা। তা বদলে এখন আবার নানা ডিজাইন জায়গা করে নিয়েছে। যদিও ডিজাইনের সঙ্গে সঙ্গে দামও কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে।
সাধারণ দোকানের পাশাপাশি বড় বড় শপিং মলেও এখন এই বড় ছাতা নজর কাড়ছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন আজকাল সব বয়সী মানুষই এই ধরণের ছাতা কিনছেন।
ডবল কাপড় দেওয়া বড় ঘেরের এসব ছাতা কিন্তু বর্ষাকালে বেজায় বিকচ্ছে। ফলে রাস্তায় অনেক মানুষের হাতেই এখন ফিরেছে বড় ছাতা।
পুরনো সেই বড় ছাতার এই নতুন করে ফেরা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অন্য ফ্যাশনের ছোঁয়া দিতে পারবে কী? যেভাবে এর কদর বাড়ছে তাতে কিন্তু এটাই আগামী দিনের ফ্যাশনে পরিণত হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। — প্রতিবেদক – প্রিয়া মুখোপাধ্যায়