প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ভারতী ঘোষের স্বামীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে ভবানী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত ভারতী ঘোষের স্বামী এমএভি রাজুকে পুলিশ হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করলেও ভারতী ঘোষ ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সুজিত মণ্ডল বেপাত্তা। এদিন ভারতী ঘোষের স্বামী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানান। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। তারপরই এমএভি রাজুকে গ্রেফতার করেন সিআইডি আধিকারিকরা।
এ বছরের শুরুর দিকে ভয় দেখিয়ে সোনা লুঠের মামলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সিআইডি। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজলেও ভারতী ঘোষের হদিস পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর একে একে তাঁর বাড়ি ও লকার সিল করে দেয় সিআইডি। পাওয়া যায় হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিস। সেই মামলায় এরপর বিভিন্ন সময়ে ভারতী ঘোষের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। অবশেষে এদিন এমএভি রাজুকে গ্রেফতার করলেন তাঁরা।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পদ থেকে সরিয়ে আইপিএস ভারতী ঘোষকে ব্যারাকপুর তৃতীয় ব্যাটেলিয়নে বদলি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে একদা পরিচিত ভারতীয় ঘোষ ডিজির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। এর ২ মাসের মধ্যেই ভারতী ঘোষের ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিআইডি। জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এসময়ে অডিও বার্তায় কয়েকবার আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন ভারতী ঘোষ। তবে তিনি কোথায় তার হদিস পায়নি পুলিশ। এখনও তিনি বেপাত্তাই।