ভেঙে পড়া মাঝেরহাটে ব্রিজের ভয়ংকরতার ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে এদিন বিকেল থেকে দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। হাত লাগান স্থানীয়রা। পুলিশ এসে হাজির হয়। ভেঙে পড়া অংশের আশপাশে থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে যাঁরা উদ্ধারে হাত লাগিয়েছিলেন তাঁদের কাজ করতে দেয় পুলিশ। ভেঙে পড়া অংশে থাকা মিনিবাস, গাড়ি থেকে একে একে বার করে আনা হয় আহতদের।
এদিকে ঘটনাটি ঘটে বিকেলে। ফলে সন্ধে নামতে বেশি দেরি হয়নি। সন্ধে নামার পর অন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়। সমস্যা হয় আলোর। অন্ধকারে এমন এক ভেঙে পড়া ব্রিজে উদ্ধারকাজ চালানো উদ্ধারকারীদের পক্ষেও বিপজ্জনক। তাছাড়া অন্ধকারে পরিস্কার দেখতে পাওয়ার সমস্যা রয়েছে। দ্রুত বেশ কিছু আলো চারপাশে লাগানোর বন্দোবস্ত হয়।
প্রথমে উদ্ধারে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও স্থানীয়রা হাত লাগালেও বিপজ্জনক জায়গা থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে তলব করা হয় সিআইএসএফ জওয়ানদের। সিআইএসএফ হাত লাগায় উদ্ধারে। যেটুকু খবর তাতে এখনও পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন। তবে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে এখনই মৃতের সংখ্যা পরিস্কার করে বলা মুশকিল। মনে করা হচ্ছে ভেঙে পড়া অংশের তলায় অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। তবে সেখানে কতজন চাপা পড়ে আছেন তা একেবারেই পরিস্কার নয়। ওই অংশের ধ্বংসস্তূপ না সরানো পর্যন্ত সেটা জানার উপায়ও নেই। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, যেখানে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে তার তলায় খালের ধারে কিছু ঝুপড়ি ছিল। কিছু গাড়ি বাইকও পার্ক করা থাকত।
উদ্ধারকাজ পুরোদমে চালানোর চেষ্টা চলছে। তবে সূর্যের আলো পাওয়া গেলে উদ্ধারে যতটা সুবিধা হত বা উদ্ধার যতটা গতি পেত তা সন্ধে নামার ফলে পাওয়া মুশকিল। তাছাড়া অন্য ভয়ও রয়েছে। অন্ধকারে কোনও অংশে পা রাখলে সে জায়গা ধসে গিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করতে পারে। ফলে কাজ করতে হচ্ছে সন্তর্পণে।