শহর কলকাতার ওপর বন্ধের তেমন কোনও প্রভাব পড়ল না। কংগ্রেস ও বামেদের ডাকা বন্ধের মাঝেও সকাল থেকেই সচল রইল শহর। স্বাভাবিক যান চলাচল। আলাদা করে বলে না দিলে বোঝার উপায় ছিলনা এদিন বন্ধ। বাস, গাড়ি সবই রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে চলেছে। তবে শহরের বাইরে থেকে যেসব মালবাহী গাড়ি আসে, সেগুলি কম এসেছে।
এদিন বন্ধের সমর্থনে কংগ্রেস ও বামেরা আলাদা আলাদা করে মিছিল বার করে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডাকা ৬ ঘণ্টার বন্ধের এদিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ধর্মতলা অবরোধ করেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। ফলে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। বন্ধ সমর্থকদের হটিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজন বন্ধ সমর্থককে আটক করে পুলিশ। এদিন মৌলালি ও মানিকতলাতেও অবরোধ করেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। তবে দ্রুত অবরোধ তুলে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ের কাছে অবরোধ করেন এসইউসি সমর্থকেরা। পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ ইস্যুকে সামনে রেখে এদিন বন্ধের ডাক দিয়েছিল ৫ বাম দলও। তাদের মধ্যে এসইউসি রয়েছে। হাজরায় অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে বেশ কয়েকজন এসইউসি সমর্থককে জোর করে টেনে সরিয়ে দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে দেয় পুলিশ। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবরোধ করেন বামেরা। এছাড়া এন্টালি থেকে বন্ধের সমর্থনে একটি মিছিল বার করে সিপিএম সহ বন্ধে শরিক বাম দলগুলি। মিছিলে পা মেলান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অনেকে।