
রবিবার জোড়াসাঁকোয় বৃদ্ধ খুনের ঘটনা নিয়ে বিহ্বলতা কাটার আগেই ফের শহরে বৃদ্ধা খুন। সোমবার সকালে বৃদ্ধা সুনন্দা গঙ্গোপাধ্যায়ের দেহ বাড়ির মধ্যের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বছর ৬০-এর সুনন্দাদেবীকে খুন করে ওই ড্রেনে ফেলে যাওয়া হয়েছিল। ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়ায় একাই থাকতেন এই বৃদ্ধা। রবিবার সকালে তাঁকে পাড়ার একটি চায়ের দোকানের কর্মচারি চা দিতে গিয়ে শেষবার দেখতে পান। তারপর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি। পুলিশের অনুমান, বেলার দিকেই সুনন্দাদেবীকে খুন করে ড্রেনে ফেলা হয়ে থাকতে পারে। সারারাত বাড়ির সদর দরজা খোলা ছিল। এদিকে পাড়া প্রতিবেশির দাবি, সুনন্দাদেবীকে বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। প্রোমোটাররা বাড়ি ছাড়ার জন্য মোটা টাকার অফারও দেন তাঁকে। কিন্তু ভিটে ছেড়ে অন্যত্র তিনি যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন নিঃসঙ্গ সুনন্দাদেবী। অভিযোগ নাছোড় মহিলাকে এরপর শুরু হয় ভয় দেখানো। প্রায় দিন আসতে থাকে হুমকি। একে একা থাকেন। তারওপর এভাবে হুমকি আসতে থাকায় কিছুটা আতঙ্কিত হয়েই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন সুনন্দাদেবী। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এদিন সুনন্দাদেবীর দেহে সেই অর্থে কোনও আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। শুধু জিবটা বেরিয়ে ছিল। তা থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সুনন্দাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে সত্য কি তা জানা যাবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরই। কিন্তু শহরে কেন একের পর এক বৃদ্ধ, বৃদ্ধা খুনের ঘটনা সামনে আসছে? সুনন্দাদেবী যদি হুমকির কথা জানিয়ে পুলিশে চিঠি দিয়েই থাকেন তবে কেন আগাম পদক্ষেপ করল না পুলিশ? এ প্রশ্ন কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়েও।