ইসলামপুরে ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধে স্বাভাবিক রইল কলকাতা। তবে দু-এক জায়গায় জোর করে দোকানপাট বন্ধ করানোর চেষ্টা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাসে। ব্রাবোর্ন রোডে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। বাসে ভাঙচুরও করা হয়। ফলে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। যান চলাচলে প্রভাব পড়ে। বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত আগুন নেভাতে উদ্যোগী হয় দমকল।
পোস্তায় জোর করে দোকান বন্ধ করে দেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। পাল্টা তৃণমূল কর্মীরা সেখানে হাজির হয়ে আবার দোকান খুলিয়ে দেন। বড়বাজারেও বন্ধ সমর্থকরা মিছিল বার করে দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করেন। শ্যামবাজারে বন্ধ সমর্থনকারীরা বাস রোখার চেষ্টা করলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ এলে অবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক হয়। এর বাইরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধের সমর্থনে বিজেপির পক্ষ থেকে মিছিল বার করা হয়। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা আর তেমন কিছু ঘটেনি। মোটের ওপর স্বাভাবিক ছিল জনজীবন।
এদিন কিছু স্কুল বন্ধ রাখলেও অধিকাংশ স্কুল ছিল খোলা। ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতেও তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। তবে ছোটদের ক্ষেত্রে অনেক অভিভাবক স্কুলে পাঠানোর ঝুঁকি নেননি। তাছাড়া পুলকার মালিকরা এদিন অনেকেই রাস্তায় গাড়ি বার করেননি। ফলে পুলকারের ওপর নির্ভরশীল অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারেননি।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়তে এদিন হাজিরা ছিল মোটের ওপর স্বাভাবিক। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রেও হাজিরা ছিল আর পাঁচটা দিনের মত। কিছু সরকারি অফিসে রাতে থেকে গিয়েছিলেন কর্মীরা। সেক্টর ফাইভেও বন্ধের কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – @me_locket)