সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ড। ২০১১ সালে ঘটা সেই ঘটনা রাজ্য পার করে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নেয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি, মগরাহাট সহ আশপাশের এলাকার মোট ১৭২ জনের প্রাণ যায় বিষাক্ত চোলাই পান করে। সেই ঘটনার পর সবে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও কম রাজনৈতিক জল ঘোলা হয়নি। পরে ওই ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। আত্মসমর্পণ করে বিষমদ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা। গ্রেফতার হয় অন্য অভিযুক্তরাও।
তারপর থেকে সেই মামলা চলেছে এতদিন। গত বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। বাকি ৭ জনকে বেকসুর খালাস করে আদালত। দোষী সাব্যস্তদের শুক্রবার সাজা ঘোষণা হল। প্রত্যেকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।
যদিও নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছে খোঁড়া বাদশা। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্তদের পরিবার।