সোমবার পয়লা অক্টোবর। মাস শুরু। এতদিন যে সংস্থা নিমতলা মহাশ্মশানে দাহকর্মের জিনিসপত্র যোগান দিত, তাদের জায়গায় এদিন থেকে পুরসভা অনুমোদিত অন্য একটি সংস্থা এই দায়িত্ব পেয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে এই দায়িত্ব পাওয়ার পর এদিন নতুন সংস্থার কর্মীরা নিমতলায় হাজির হন। অভিযোগ ঠিক তখনই সকাল ৮টা নাগাদ নিমতলা মহাশ্মশানের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে পুরনো সংস্থার বিরুদ্ধে।
সদা ব্যস্ত এই শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারে সারাক্ষণই মানুষ আসছেন। তাঁরা দেহ সৎকার করতে এসে ফাঁপরে পড়েন। শ্মশানের দরজা বন্ধ থাকার খবর পৌঁছয় মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের কানে। এদিকে নিমতলায় দাহ করতে আসা মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ চড়ছে।
বেলা ১১টা নাগাদ অতীন ঘোষ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশের সাহায্যে ওই তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর। অতীনবাবুর হস্তক্ষেপে অবশেষে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়। ভোগান্তির পর মানুষজন প্রিয়জনের দেহ সৎকারে সমর্থ হন।