গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকা বন্ধের দিন স্কুলে ৬ বছরের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে এক শিক্ষক। এদিন এমনই অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিশুর মা। এত দেরিতে কেন? ছাত্রীর মা অসুস্থ থাকায় তিনি স্কুলে আসতে পারেননি। ফলে এদিনই এসে অভিযোগ জানান স্কুলে। এদিকে এমন এক ঘটনা যে ঘটেছে সেকথা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের মধ্যে। ৬ বছরের এক শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় স্কুলে হুলুস্থুলু। জোর করে স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। ভাঙচুর চালানো হয় স্কুলে।
দ্রুত সেখানে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশ এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছুঁড়তে থাকেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। ইটের ঘায়ে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। এদিকে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর চড়াও হন তাঁরা। পাল্টা পুলিশও যথেচ্ছ মারধর শুরু করে। লাঠিচার্জ করা হয়। অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে এক অভিভাবকের মাথা ফেটে যায়। ওই মহিলাকে অন্য অভিভাবকরা সেখান থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার এমনই ধুন্ধুমার অবস্থা হল ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলে। পুলিশ-অভিভাবক খণ্ডযুদ্ধে এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির পরিবেশ। আতঙ্কে বেশ কয়েকজন শিক্ষিকা বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের ঘিরে ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন অভিভাবকদের একাংশ। অভিযোগ দায়েরের পরও স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীন মানসিকতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অভিভাবকরা।
এদিকে এই ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন স্কুল বন্ধ থাকলেও আগামী বুধবার থেকে স্কুল খোলা হবে পুলিশি প্রহরায়। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক এখন স্কুলে আর আসতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এদিনের ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জন্য অভিভাবকদের পাশাপাশি বহিরাগতদেরও দায়ী করেছে পুলিশ। বহিরাগতরা এই সুযোগে পুলিশের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।