দুর্গাপুজো এখন আর সময়ের অপেক্ষা। বুধবার অনেক পুজোর উদ্বোধন। বাবুবাগানে পুজোর উদ্বোধনে বিকেলেই হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য জুড়েই এখন সাজসাজ রব। সেই শারদোৎসবের আনন্দে গ্রহণ হয়ে দেখা দিয়েছে তিতলি। নামটি যতটা সুন্দর, কাজে তার ঠিক উল্টো এই তিতলি। ইতিমধ্যে অতি শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে সে ছুটে আসছে ওড়িশা, অন্ধ্র উপকূলের দিকে। স্থলভূমিতে প্রবেশ করার পর ওই ২ রাজ্যের ওপর তার ঝাপটা অনেক বেশি পড়বে ঠিকই। কিন্তু সেই তিতলির প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলা সহ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বুধবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালে থেকেই আকাশ ঢাকা পড়তে শুরু করেছিল মেঘে। বেলা যত গড়িয়েছে ততই মেঘ পুরু হয়েছে। কালো হয়েছে। শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রভাব আরও বেশি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টি চলছে একটানা। সমুদ্র উত্তাল হয়ে রয়েছে। ফলে দিঘা, শঙ্করপুর সহ অন্যান্য সব সমুদ্রতটেই পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের উত্তাল সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। যা চলবে প্রায় পঞ্চমী পর্যন্ত বলেই পূর্বাভাস।
এদিকে পুজোর ঢাকে কাঠি পড়া মানেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। কোথাও বা সবে তৈরি প্যান্ডেলে উদ্বোধন। ফলে বিশাল অঙ্ক খরচ করে প্যান্ডেল বানানো উদ্যোক্তাদের কপালের ভাঁজ পুরু হচ্ছে। পুজোর আগেই প্যান্ডেল নষ্ট হওয়ার ভয় পাচ্ছেন অনেকে। এদিকে অনেক প্যান্ডেলেই এখন ঠাকুর আনার তোড়জোড়। বৃষ্টিতে ঠাকুর কুমোরঘর থেকে আনাও মুশকিল। এই অবস্থায় দুর্গাপুজোর দিনগুলো হয়তো ঝলমলেই থাকতে চলেছে। কিন্তু তার আগে প্রস্তুতির দিনগুলো বৃষ্টিতে মাটি হতে চলেছে বলেই মনে করছেন শহরবাসী।