আজ তৃতীয়া। ইতিমধ্যেই অনেক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হয়ে গেছে। শহরে পুজোর গন্ধ লেগেছে। আজ শুক্রবারের পর কার্যত শারদোৎসবে মেতে উঠবেন শহরবাসী। কারণ একটাই। শুক্রবারের পর অনেক স্কুলেই ছুটি পড়ে যাচ্ছে। অফিসেও ছুটি ছুটি ভাব এসে গেছে। এদিনও শহরের অনেক পুজোর উদ্বোধন রয়েছে। এই অবস্থায় তৃতীয়ার ভোরে শহরের ঘুম ভেঙেছে কিছুটা মনমরা হয়ে। কারণ মেঘলা আকাশ। আকাশ ভরা মেঘে পুজোর আনন্দ যেন কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে। আর এজন্য তিতলিকে দুষছেন সকলে। এবার বর্ষায় কম বৃষ্টি পেয়েছে বাংলা। তাই এই নিম্নচাপ হয়তো কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। কিন্তু শারদোৎসবের দিনগুলোয় এসব মেনে নেওয়া কঠিন হচ্ছে সকলের কাছেই।
তিতলির তাণ্ডবে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বর্ষণ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে অনেক জায়গায়। ট্রেন একের পর এক বাতিল হচ্ছে। বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। সেই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তিতলি শক্তি হারিয়েছে। ফলে এখন তা ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে। আর তার অভিমুখ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলি। যার জেরে উপকূলীয় জেলা তো বটেই সেই সঙ্গে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলির মত জেলাগুলিও রেহাই পাচ্ছে না। এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। পুরু মেঘের চাদরে ঢাকা শহর। কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা শুক্রবার সন্ধের পর থেকে শুরু হতে পারে।