ভাসুরকে দিয়ে ধর্ষণ করানো হয়েছে তাঁকে। এমনই এক ভয়ংকর অভিযোগ নিয়ে কড়েয়া থানার দ্বারস্থ হন এক গৃহবধূ। বালিগঞ্জের এক তথাকথিত সম্ভ্রান্ত পরিবারের ওই গৃহবধূর দাবি, বিয়ের পর থেকেই তাঁর ওপর বিভিন্ন সময়ে পণের দাবিতে অত্যাচার চালাতেন তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তাঁকে ভাসুরের সঙ্গে সহবাস করতে চাপ দিতেন তাঁর স্বামী। দিনের পর দিন ভাসুরের হাতে শারীরিক নিগ্রহ ও ধর্ষণের শিকার হন তিনি। যাতে মদত ছিল তাঁর স্বামীর। সেই অপমান ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই ওই গৃহবধূ পুলিশের দ্বারস্থ হন।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর স্বামী ও ভাসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে চাইলেও আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযুক্তদের পরিবারের পাল্টা দাবি ওই গৃহবধূর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক আছে। সেজন্য ডিভোর্স চাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এমন সব অভিযোগ তুলছেন তিনি। গত ৭ মাস ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়িতে ছিলেনই না বলে দাবি ওই পরিবারের। তাঁদের প্রশ্ন সেখানে ধর্ষণের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)