বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ২ দিনব্যাপী সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের প্রথম দিনের শুরুতেই অশান্তি ছড়াল কলকাতা ও জেলাগুলিতে। ভোর হতেই শুরু হয় ধর্মঘটীদের পথ অবরোধ, রেল অবরোধ। সকালে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা মিছিল করে এসে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেই অশান্তি কিছুক্ষণ পর মিটলেও দ্বিতীয় দফায় সেখানে বিশাল মিছিল নিয়ে হাজির হন সুজন চক্রবর্তী। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধর্মঘটীরা স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে সুজন চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন ধর্মঘটীকে আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে চরম অশান্তি ছাড়ায় বারাসতেও। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে অবরোধ হয়। বারাসতে একটি স্কুল বাসে ভাঙচুর চালান ধর্মঘটীরা। এমন কাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা। একটি বাসও এখানে ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় মালবাহী গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন। বাসের চাকা খুলে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা হয়। এখানে অবরোধ ওঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। রাস্তা অবরোধ করা হয়। অবরোধ হয় ব্যারাকপুরের কাছেও। এছাড়া সোদপুরে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন বাম সমর্থকেরা। এখানে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের কিছুটা সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
আসানসোলেও প্রবল অশান্তির খবর মিলেছে। সেখানেও বন্ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশর সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বন্ধ তুলতে বিশাল পুলিশবাহিনী হাজির ছিল সেখানে। তবে দীর্ঘক্ষণ এখানে অশান্তি চলে। এদিকে সকালে গড়িয়াতেও পথ অবরোধ করা হয়। কিছু পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠলেও কিছু পরে ফের অবরোধের চেষ্টা হয়। উল্টোদিকে অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করে দোকানপাট সচল রাখতে হাজির হন তৃণমূল কর্মীরাও। ফলে একটা প্রবল সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারত। কিন্তু সেখানে মাঝখানে প্রচুর পুলিশ থাকায় কেউই কারও দিকে এগোতে পারেনি। ফলে সংঘর্ষ বাঁধেনি। কিন্তু উত্তেজনা ছিল চরমে। বাম কর্মী সমর্থকদের এখানে গ্রেফতারও করা হয়।