বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে সর্বভারতীয় বন্ধের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি শুরু হয়। প্রথম দিনেও সকালে যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হওয়া মিছিলকে আটকায় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরে সুজনবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ফের সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ যাদবপুরে মিছিল শুরু করেন সুজনবাবু। ছিলেন বহু বাম কর্মী সমর্থক। এদিনও তাঁদের রুখতে তৈরি ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। মিছিলের পথ আটকান তাঁরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেশ কিছুক্ষণ এমন চলার পর অবশেষে বাম কর্মীদের আটক করে পুলিশ। সুজনবাবুকেও আটক করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার সকালে এন্টালিতে জমা হয়ে এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে বন্ধের সমর্থনে মিছিল করেন বাম নেতা অনাদি সাহু। এদিন বেশ কিছু জায়গা থেকে অশান্তির খবর মিলেছে। কোচবিহারে একটি টোটো ভাঙচুর করেন বন্ধ সমর্থকেরা। কাটোয়ার ভান্ডারটিকুরি স্টেশনে অবরোধ হয়। অবরোধ হয় নদিয়ার শিমুরালি স্টেশনে। অবরোধ হয় পূর্ব বর্ধমানের নিমোতে। রেল লাইনে বসে পড়ে অথবা কলাপাতা ফেলে বন্ধ করার চেষ্টা হয়। কিছু পরে অবশ্য লাইন থেকে ধর্মঘটীদের সরিয়ে সচল করা হয় ট্রেন। তবে বন্ধের দ্বিতীয় দিনে প্রথম দিনের মত অতটা ভয়ংকর চেহারা নেয়নি রেল অবরোধ।
হাওড়ার দাশনগরে এদিন একটি বাসে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। বাসের উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে যায়। আহত হন কয়েকজন যাত্রী। আতঙ্ক ছড়ায়। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বন্ধে প্রথম দিনে তেমন প্রভাব না পড়লেও দ্বিতীয় দিনে কিন্তু ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এখানকার অধিকাংশ মিল বন্ধ। কাজে যোগ দেননি শ্রমিকরা। তবে কলকাতা এদিন স্বাভাবিক। দেখে বোঝার উপায় নেই এদিন বন্ধ আছে। গত মঙ্গলবার কিছু মানুষ কম বার হলেও এদিন সকাল থেকে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই কাজে বার হয়েছেন সকলে। স্বাভাবিক তথ্য প্রযুক্তি তালুক সল্টলেকের সেক্টর ফাইভও।