ব্রিগেড শনিবার। কিন্তু সেই ব্রিগেডে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে থেকেই বিভিন্ন ট্রেনে শহরে ঢুকতে শুরু করলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। দূরদূরান্ত থেকে শহরে প্রবেশ করছেন তাঁরা। শিয়ালদহ স্টেশনে নামার পর সেখানে অনেককেই এদিন দেখা গেছে ১৯-এর ব্রিগেডের ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে। এখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। সেখানে খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্তও রাখা হয়েছে। যেহেতু বৃহস্পতিবার থেকেই শহরে ঢোকার ভিড় বাড়ছে তাই কর্মী সমর্থকদের সুবিধার্থে সবরকম বন্দোবস্ত রেখেছে তৃণমূল।
ব্রিগেডে দীর্ঘদিন পর সভা। যেখানে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরাও হাজির থাকবেন। তার মঞ্চ তৈরি অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। মূল মঞ্চ থাকছে মাঝখানে। ২ পাশে থাকছে ২টি করে ছোট ছোট মঞ্চ। মূল মঞ্চে থাকবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য বিরোধী নেতারা। সেখান থেকেই বক্তৃতা দেওয়া হবে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটকে এককাট্টা করতে এই ব্রিগেডকে বিশেষ গুরুত্বের চোখে দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বাঁশ দিয়ে ঘেরার কাজ প্রায় শেষ। মাইক ও বক্সও লাগানো হয়ে গেছে। চলছে টেস্টিং। সব মিলিয়ে ত্রুটিমুক্ত একটি ব্রিগেড করে গোটা দেশকে চমকে দিতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।