১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকেই শহরে ঢুকতে শুরু করেছেন দূর দূর থেকে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। শুক্রবার সেই সংখ্যা অনেক বেড়েছে। শিয়ালদহ স্টেশনে বিশেষ ক্যাম্পের বন্দোবস্ত করেছে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত থাকছেন তৃণমূল নেতারা। বিভিন্ন ট্রেনে স্টেশনে আসার পর কর্মী সমর্থকদের বাসে করে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম বা সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্তও রয়েছে। রয়েছে থাকার ব্যবস্থা। রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর শুক্রবার তাই দিনভরই সরগরম।
ব্রিগেডের সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক নেতারা হাজির হচ্ছেন। তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির হচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী। তাই এদিন দমদম বিমানবন্দরেও তৃণমূলের তরফে যথেষ্ট তৎপরতা চোখে পড়েছে।
ব্রিগেডের সুরক্ষা বন্দোবস্ত এদিন খতিয়ে দেখেন স্বয়ং নগরপাল রাজীব কুমার। প্রস্তুতি কার্যত প্রায় শেষ। বাঁশের বেড়া থেকে মাইক লাগানো, মঞ্চ তৈরি, সিসিটিভি লাগানো, ওয়াচ টাওয়ার তৈরির কাজ শেষ। শুক্রবার দুপুরের পর মঞ্চে শেষ ছোঁয়ার কাজ হয়েছে। পুলিশের তরফে সুরক্ষা বন্দোবস্ত পাকা করা হয়েছে। কাজ কেমন হচ্ছে তা তত্ত্বাবধান করতে হাজির হচ্ছিলেন তৃণমূল নেতারা। সব মিলিয়ে শনিবারের ব্রিগেডের জন্য তৈরি বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রের বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই বিশাল প্রাঙ্গণ।