শনিবারের রাত। পরদিন রবিবার। তারওপর ঠান্ডা। ফলে ঘড়ির কাঁটায় যখন প্রায় রাত ১টা তখন ঘুমে কাদা অধিকাংশ পরিবার। দিনভর ব্যস্ত গড়িয়াহাটও তখন শান্ত। ঠিক সেই সময়েই রাতের সব শান্তি ভেঙে গড়িয়াহাটের একটি বহুতলে লাগল আগুন। আগুন দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। আগুনের গ্রাসে এসে পড়ে ওই বহুতলের ফ্ল্যাট, দোকান। একটি প্রসিদ্ধ শাড়ি বিপণী সহ অনেক জায়গা আগুনের গ্রাসে চলে আসে। খবর পেয়ে দ্রুত হাজির হয় দমকল। একে একে এসে পড়ে ১৫টি ইঞ্জিন। আগুন নেভাতে হিমসিম খেতে হয় দমকলকে। দ্রুত বার করে আনা হয় ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের। বাড়ি ফাঁকা করার পাশাপাশি চলে আগুন নেভানোর কাজ। রাত পার করে সকালেও কিন্তু এই বহুতলের অনেক জায়গায় আগুন ছিল। পকেটের মত করে আগুন ছড়িয়েছিল। যা নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যান দমকলকর্মীরা।
রাতে এই আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। গোটা এলাকাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারণ ঘিঞ্জি এলাকায় বহু দোকানপাট রয়েছে। থাকেন বহু মানুষ। ফলে আগুন ছড়ালে তা ভয়ংকর কিছু ঘটাতেই পারে বলে আতঙ্ক তৈরি হয়। আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা।