ব্রিগেডে বামেরা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে কী? আদৌ লোক হবে তো? এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল বামপন্থী থেকে বাম বিরোধী সকলের মনেই। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বেশ ভালভাবেই পাশ করল ৩৪ বছর রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্ট। রবিবার সকাল থেকেই হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে মিছিল এগোয় ব্রিগেডের দিকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ হাজির হন শহরে। হাতে লাল ঝাণ্ডা। গাড়ি, মাটাডোর, বাসেও মানুষ আসেন শহরে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মিছিল এগোয় ব্রিগেডের দিকে। আর বেলা বাড়তেই ব্রিগেডে বেশ ভাল সংখ্যক মানুষের ভিড় জমে যায়।
বহুকাল বাদে বামেদের ব্রিগেড। লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়ানোর অগ্নিপরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় বাম নেতৃত্বকে নিরাশ করেননি বাম কর্মী সমর্থকেরা। এদিন ব্রিগেডে মানুষের উপস্থিতিতে যে তাঁদের বাড়তি উৎসাহ দিয়েছে তা ফুটে উঠেছে বাম নেতৃত্বের বক্তব্যেও। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এদিন কার্যত ঘোষকের ভূমিকায় ছিলেন। একে একে সিপিএম ও শরিক নেতৃত্বকে ডেকে নেন বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। ছিলেন ক্ষিতি গোস্বামী, দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, মহম্মদ সেলিম সহ অন্য নেতারা।
এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন বক্তারা। বক্তব্যে উঠে আসে জিএসটি থেকে নোটবন্দি, নাগরিকত্ব বিল থেকে রাফাল সব প্রসঙ্গই। এদিন সকলের বক্তব্যেই কিন্তু কেন্দ্রের বিরোধিতা অনেক বেশিই জায়গা পেয়েছে। তুলনায় রাজ্য সরকারের বিরোধিতা ছিল নামমাত্র। অনেকটা নিয়মরক্ষার মতই রাজ্য সরকারের বিরোধিতা দেখা গেল বাম নেতৃত্বের গলায়। এখানেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হঠাতে বাম নেতৃত্ব কী তবে কিছুটা হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন দলের জোটের পাশে থাকছে? তাই কী সন্তর্পণে বিরোধিতা করা হল মমতা সরকারের? অন্তত ইঙ্গিতটা তেমনই।