মাধ্যমিক শুরুর দিন ছিল ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে কাটলেও পরীক্ষা শুরুর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। শুরু হয় হৈচৈ। শুধু প্রথম দিন বলেই নয়, বাংলা, ইংরাজি, ইতিহাস ও ভূগোল, এই ৪টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই পরীক্ষা শুরুর পরই একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মারফত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। গোটা রাজ্য জুড়ে পরীক্ষার্থীরা তো বটেই অভিভাবকদের মধ্যেও একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে ৫ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এদের মধ্যে হুগলি থেকে গ্রেফতার হয় সাজিদুল রহমান। গ্রেফতার হয় ১২ ক্লাসের ২ ছাত্র মালদার সাহাবুল আমির ও পূর্ব বর্ধমানের সাহবাজ মণ্ডল। এছাড়া ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও গ্রেফতার হয়েছে। সিআইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলে। তারপর পরীক্ষা শুরু হলেই সেই গ্রুপে ছড়ানো হতে থাকে প্রশ্নপত্র ও তার উত্তরপত্র।
তবে এই ৫ জনেই শেষ নয়। সিআইডি আরও বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে। যাতে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও গ্রেফতার করা যায়। এটি একটি চক্র। পুরো চক্রটাকেই গ্রেফতার করতে উঠে পড়ে লেগেছে সিআইডি। তবে এসব সত্ত্বেও পরীক্ষা কিন্তু আবার নেওয়ার প্রশ্নই নেই বলে পরিস্কার করে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন পরীক্ষা শুরুর পর এই কাণ্ড ঘটেছে। তখন সব পরীক্ষার্থী হলের মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর প্রশ্নই নেই। তাই পরীক্ষাও বাতিলের প্রশ্ন নেই।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)