রবিবার সন্ধে নামতেই কলকাতা সহ আশপাশের বিশাল এলাকা জুড়ে শুরু হয় মেঘের গর্জন। আকাশ ছেয়ে যায় মেঘে। গুড় গুড় শব্দের সঙ্গে শুরু হয় ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়া। রাত বাড়তে শুরু হয় হাল্কা বৃষ্টি। বৃষ্টিভেজা রাতেই ঘুমিয়ে পড়ে শহর। কিন্তু বেশিক্ষণ নয়। মাঝরাতেই ভেঙে যায় ঘুম। জানালা দরজায় যেন কেউ ঢিল ছুঁড়ে চলেছে। আঁতকে উঠে বাইরে আসতেই দেখা যায় অঝোরে বৃষ্টি আর তারসঙ্গে নিরলসভাবে পড়ে চলেছে অজস্র শিল। শিল বা বৃষ্টির মত বরফের টুকরোর আঘাতেই জানালা, দরজা, ছাদে তখন ফটফট আওয়াজ। মধ্যরাতের এই শিলাবৃষ্টি স্থায়ী হয় বেশি কিছুক্ষণ। সঙ্গে ছিল প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব।
ভোরের দিকে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও ফের বেলা বাড়লে বৃষ্টি শুরু হয়। অঝোর ধারায় কোথাও বৃষ্টি হয়েছে তো কোথাও তার চেয়ে কম। কিন্তু বৃষ্টি হয়েই গেছে। সঙ্গে মেঘের গর্জন। ঘন মেঘে ঢাকা আকাশে সপ্তাহের প্রথম দিনে চরম দুর্ভোগের শিকার হন মানুষজন। প্যাচপ্যাচে রাস্তায় ভিড়ে ঠাসা যানবাহন। তারমধ্যে বৃষ্টি। অনেকে ঠান্ডা হাওয়া থেকে বাঁচতে শীতের সোয়েটার, শাল ফের এদিন গায়ে চড়ান। রাস্তায় গাড়ির গতিও ছিল শ্লথ। যানজটও হয়েছে। সব মিলিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিনের বৃষ্টিতে বেহাল জনজীবন।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ যে বৃষ্টি পাবে তা গত সপ্তাহেই পূর্বাভাসে জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল হয়ে মেঘ ঢুকবে রাজ্যে। ফলে বৃষ্টি হবে। সেই মেঘ পূর্বাভাস সত্য করে হাজিরও হল। রবিবার বিকেল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়। কলকাতার আকাশে মেঘের সঞ্চার শুরু হয় বিকেল থেকে। সন্ধের পর তা আরও জমাট বাঁধে। রাতের থেকে নামে বৃষ্টি।