যাদবপুর এলাকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা গত সোমবার পুলিশে অভিযোগ জানান তাঁদের টাকা দিল্লির এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এমন প্রায় ৩০টি অভিযোগ জমা পড়ে। আর তাতেই ঘুম ছুটে যায় পুলিশের। যাদবপুরের সব এটিএম মেশিন পরীক্ষা করা হয়। প্রতারিত গ্রাহকরাও জানান তাঁরা কাউকে এটিএম-এর তথ্য দেননি। তা সত্ত্বেও তাঁদের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এটিএম প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এথিক্যাল হ্যাকারদেরও সাহায্য নেওয়া হয়। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, দিল্লির এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সেখানে কলকাতা পুলিশের একটি দল যাচ্ছে। বেশ কিছু ছবিও পাওয়া গিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গোয়েন্দা প্রধান আরও বলেন, কলকাতায় এর আগেও রোমানিয়ার একটি গ্যাং স্কিমিং মেশিন বসিয়ে এ কাজ করছিল। তারপরই ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এটিএমগুলিতে অ্যান্টি স্কিমিং মেশিন বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কগুলি উদ্যোগ নিয়ে চিপ বসানো এটিএম কার্ড গ্রাহকদের দেয়। অ্যান্টি স্কিমিং মেশিনও বসানো হয় কিছু এটিএম-এ। তাছাড়া পুলিশের তরফে এটিএমগুলিতে রক্ষক দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে গোয়েন্দা প্রধান জানান, এখনও কলকাতায় প্রায় ২৫০টি এটিএম রয়েছে যেখানে গার্ড নেই। তবে ব্যাঙ্কগুলি তাঁদের পরামর্শ মেনে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করেছে বলেও জানান তিনি।
মুরলীধর শর্মা এদিন গ্রাহকদের জন্যও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রাহকরা অনেকেই দীর্ঘদিন তাঁদের পিন বদলান না। একই পিনে এটিএম ব্যবহার করেন। কিন্তু তাঁদের উচিত ৬ মাসের মধ্যেই পিন বদলে ফেলা। তাছাড়া যেসব ব্যাঙ্ক এটিএম ব্যবহার না করলে নিষ্ক্রিয় করে রাখার সুবিধা দিচ্ছে তা ব্যবহার করা। তাতে যখন গ্রাহক টাকা তুলতে চান তখনই কেবল তিনি এটিএম অ্যাকটিভ করবেন। টাকা তোলা হয়ে গেলে তা নিষ্ক্রিয় করে দেবেন। তাতে তাঁদের টাকা অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে। এসবিআই তাদের ইয়োনো অ্যাপের মাধ্যমে এমন সুযোগ দিচ্ছে বলে জানান তিনি।