সামনেই ভোট। তার আগে এখন নিজের নিজের এলাকায় প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা। সেই অবস্থায় রাজারহাটের দোনাগড়ে একটি অস্ত্র কারখানার হদিস পেল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করেন এসটিএফ আধিকারিকরা। পুলিশ হানা দিয়ে প্রথমে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ৯০টি অর্ধসমাপ্ত পিস্তল পাওয়া যায়। পিস্তলগুলি তৈরির কাজ চলছিল। গ্রেফতার ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তারাই মূল অস্ত্র কারখানার হদিস দেয়।
ভোটের মুখে অবশ্যই এটা কলকাতা পুলিশের বড় সাফল্য। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বাড়িটিতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় আরও ৬০টি অর্ধসমাপ্ত পিস্তল, অস্ত্র তৈরির মেশিন, গুলি এবং ৮৮ হাজার টাকার জাল ভারতীয় মুদ্রা। ওই বাড়িটি তারপরই সিল করে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক ও আরও ২ জনকে।
পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃতদের মধ্যে ৫ জন বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। কী উদ্দেশ্যে এত অস্ত্র তৈরি হচ্ছিল, কাদের কাছে এই অস্ত্র পৌঁছনোর কথা ছিল, সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কোথায় কোথায় এভাবে গোপনে অস্ত্র তৈরির কারবার চলছে তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কিছুদিন আগে ধরা পড়েছিল প্রচুর বোমা তৈরির মশলা। এখন ধরা পড়ল অস্ত্র। ভোটের মুখে একদিকে যেমন পুলিশ অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এসব উদ্ধার করছে। তেমনই এসব দেখে মানুষের মনে কোথাও যেন আশঙ্কার মেঘ জমছে।