দেখা যাবে কোণার্ক-এর গর্ভগৃহ, বালি সরিয়ে নতুন উদ্যোগ
শতবর্ষের ওপর সময় কেটে গিয়েছে। কোণার্ক-এর সূর্য মন্দিরকে এভাবেও দেখার সুযোগ পাননি পর্যটকেরা। অবশেষে এক আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তে এবার অদেখাকে দেখার সুযোগ।
সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয় ২০২০ সালে। ভারত তো বটেই, এমনকি অন্যান্য দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক এবং বিশেষজ্ঞেরা একটি সম্মেলনে একত্র হন। সেখানেই বিস্তর আলোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে।
তারপর সিদ্ধান্ত হয় একটি ছোট যন্ত্র প্রথমে বালির মধ্যে ছোট ফুটো করে ঢুকে যাবে ভিতরে। সেখানে ঘুরে সেখানকার পরিস্থিতির খবর আনবে।
যদি সব ঠিক থাকে তাহলে বালি সরানোর কাজ শুরু করা হবে। অবশ্যই সুরক্ষা নিশ্চিত করেই। সেই যন্ত্র ঘুরে সবুজ সংকেত দিয়েছে। ফলে এবার শুরু হচ্ছে বালি সরানোর কাজ।
কোন বালি সরানো হচ্ছে? ১৯০৩ সালের কথা। তখন ব্রিটিশদের শাসনে থাকা ভারতের কোণার্ক সূর্য মন্দিরকে রক্ষা করতে ব্রিটিশ সরকার কোণার্ক-এর সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ বালি দিয়ে ভরে দেয়। যাতে তা ধসে না পড়ে।
বালিতে ঠাসা হয়ে যায় গর্ভগৃহ। তারপর বন্ধ হয়ে যায় দরজা। সেই থেকে কোণার্ক-এর মন্দির বাইরে থেকে ঘুরে এসেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। কিন্তু গর্ভগৃহ দেখার সুযোগ হয়নি। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি কখনও কোণার্ক মন্দিরের গর্ভগৃহ দেখা যাবে। তবে বিজ্ঞানীরা সেই সিদ্ধান্ত নিলেন।
স্থির হয়েছে আগামী ৩ বছরে বিশেষ যন্ত্র দিয়ে গর্ভগৃহে ঠাসা বালি সরিয়ে ফেলা হবে। পুরো বালি সরানোর কাজটাই হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করেছন বালি সরিয়ে দিতে পারলে গোটা মন্দিরটার আয়ু আরও বহু বছর বেড়ে যাবে। তাছাড়া বালি সরানোর পর অদেখা কোণার্ক মন্দিরের গর্ভগৃহ ফের দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা।
পূর্ব গঙ্গা সাম্রাজ্যের রাজা প্রথম নরসিংহদেব এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। এই মন্দিরের জ্যামিতি আজও মানুষকে অবাক করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা