চলে গেলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাই শরৎ বসুর ছেলে শিশির বসুর স্ত্রী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সাংসদ কৃষ্ণা বসু। শনিবার সকালে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কিছুদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ৩ বার সাংসদ হন যাদবপুর কেন্দ্র থেকে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস, ২ দলের টিকিটেই সাংসদ হয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণা বসু ছিলেন সিটি কলেজের অধ্যাপিকা। পরবর্তীকালে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষাও হন। প্রায় ৪০ বছর অধ্যাপনার কাজ করেছেন। এছাড়া নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর লেখা অনেক গ্রন্থ এখনও সমাদৃত। কৃষ্ণা বসু ১৯৯৬ সালে প্রথমবার যাদবপুর থেকে নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালেও লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকেই জেতেন। সফল সাংসদ হিসাবেই তাঁর সুনাম আছে।
কৃষ্ণার বসুর পুত্র সুগত বসুও পরে যাদবপুর কেন্দ্র থেকেই সাংসদ হন তৃণমূলের টিকিটে। সুগত বসু একজন ইতিহাসবিদ ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চপদে যুক্ত ছিলেন। কৃষ্ণা বসুর ২ ছেলে ও ১ কন্যা রয়েছেন। তাঁর মৃত্যু একটা গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করল বলে মেনে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যুতে শোক ব্যক্ত করেছেন।