ভারতীয় গুপ্তচর বলে দাবি করে কুলভূষণ যাদবকে ইতিমধ্যেই ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে পাক সামরিক আদালত। ভারত এর প্রতিবাদ করে আন্তর্জাতিক আদালতে যায়। আন্তর্জাতিক আদালত ফাঁসির আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করে। এই অবস্থায় কুলভূষণের মা ও স্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে বড়দিনের দিন দেখা করতে দেয় পাক সরকার। ইসলামাবাদে পাক বিদেশমন্ত্রকে ৪০ মিনিটের সেই কাচের দেওয়াল তোলা সাক্ষাতের পরই তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। যদিও মানবিকতার নামে এই দেখা করানোর প্রহসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত।
দেখা করতে যাওয়ার আগে কুলভূষণ যাদবের স্ত্রীয়ের পায়ে থাকা জুতো পর্যন্ত খুলে নেন পাক আধিকারিকরা। দেখা হওয়ার পর তাঁকে যে জুতো ফেরত দেওয়া হয় তা তাঁর পুরনো জুতো ছিল না। বারবার নিজের জুতো চেয়েও ফল হয়নি। কুলভূষণ যাদবের স্ত্রী চেতনকুল যাদবকে অগত্যা পাকিস্তানের দেওয়া অন্য একটি জুতো পড়ে দেশে ফিরতে হয়। পাকিস্তানের দাবি জুতোয় ধাতব কিছু ছিল বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। ফলে জুতোর পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে জুতো নিয়ে পাকিস্তান যেন নতুন কোনও গল্প না ফাঁদে।
কুলভূষণ যাদবের মা ও স্ত্রীকে দেখা করতে নিয়ে যাওয়ার আগে খুলে রাখতে হয় মাথার টিপ, মঙ্গলসূত্র ও হাতের বালা। ভারতের তরফে সাফ জানানো হয়েছে এটা ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর সরাসরি আঘাত। ভারতীয় পরম্পরায় আঘাত করেছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের দাবি তারা টিপ বা মঙ্গলসূত্র খুলতে বলেনি।
কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে তাঁর মা ও স্ত্রীকে দেখা করতে দিয়ে পাকিস্তান কেবলই চেষ্টা করছে তাদের মহত্বের কথা তুলে ধরতে। কিন্তু যেভাবে তাঁদের দেখা করানো হল, যেভাবে পরিবারের মাঝে কাচের দেওয়াল তুলে দেওয়া হল, যেভাবে মাকে তাঁর সন্তানকে ছুঁতে পর্যন্ত দেওয়া হল না, যেভাবে তাঁরা মাতৃভাষায় কথা পর্যন্ত বলতে গেলে বারবার বাধা দেওয়া হল, তাতে এই দেখা করানোকে প্রহসন এবং অপমান হিসাবেই দেখছে ভারত।