পাকিস্তানের জেলে বন্দি কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারবেনা পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এই রায় অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের। সেই রায় বার হওয়ার ১ দিনের মধ্যেই ভারতের তরফে কুলভূষণকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি উঠল। পাকিস্তানের কাছে যত দ্রুত সম্ভব কুলভূষণ যাদবকে মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় গুপ্তচরের তকমা দিয়ে কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় কূটনীতিকরা সরব হন। তাঁরা শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এর দ্বারস্থ হন। দ্যা হেগে সেই আদালত জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করে দেখতে হবে। যতক্ষণ না পাকিস্তান এই রায় পুনর্বিবেচনা করছে ততদিন কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক আদালত। এটা ভারতের বড় জয় হিসাবেই দেখছেন সকলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
এরপরই বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাজ্যসভায় জানান, কুলভূষণ যাদব সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যা দোষারোপ হয়েছে তা মিথ্যা। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কাছে ফের অনুরোধ তারা যেন কুলভূষণকে অবিলম্বে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয়। জয়শঙ্কর বলেন, তিনি আশা করেন এই বিষয়ে গোটা হাউস তাঁর সঙ্গে সহমত হবে। কুলভূষণ যাদবের পরিবারের প্রতি পাশে থাকার বার্তা দেবে। কারণ ওই পরিবারটি অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার কুলভূষণের সুরক্ষা ও সুস্থ থাকা নিয়ে তাদের শেষ পর্যন্ত লড়াই দেবে।
বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এদিন রাজ্যসভায় এই বক্তব্য পেশের পর দলমত নির্বিশেষে সব সাংসদ কুলভূষণের পরিবারের সঙ্গে থাকার বার্তা স্পষ্ট করে দেন। এদিকে আন্তর্জাতিক আদালত পাকিস্তানকে সাফ জানিয়েছে তারা ভিয়েনা সনদ লঙ্ঘন করেছে। কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। যদিও আদালতের এই রায়ের পর পাকিস্তান তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। তবে ভারত কুলভূষণকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সবরকমভাবে চাপ দিয়ে চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা