ছেলের হয়ে ক্ষমা চাইলেন কুমার শানু
ছেলে জান কুমার শানুর হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন বিখ্যাত গায়ক কুমার শানু। ছেলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি জানের মায়ের দেওয়া শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
মুম্বই : কুমার শানুর ছেলে জান কুমার শানু এবার বিগ বস ১৪-এ অংশ নিয়েছেন। অভিযোগ, উঠতি গায়ক জান বিগ বস ১৪-এর ঘরে মারাঠি ভাষাকে অপমান করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা হৈচৈ ফেলে দেয়।
চাপের মুখে ক্ষমা চান জান। তারপরও নবনির্মাণ সেনার তরফে জানানো হয় জানকে তার জায়গা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে নেন কুমার শানুও।
কুমার শানু জানিয়েছেন তাঁর ছেলে যা বলেছেন তা মেনে নেওয়া যায়না। এজন্য তিনি ছেলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। তাঁর ছেলে তাঁর কাছে থাকেন না। থাকেন তাঁর মায়ের কাছে। কুমার শানুর প্রাক্তন স্ত্রী রীতার সন্তান জান।
জানের জন্মের পরই কুমার শানু ও রীতা আলাদা হয়ে যান। তখন থেকে জান মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন। জানের মা তাঁকে কেমন শিক্ষা দিয়ে বড় করে তুলেছেন তা নিয়েও এদিন খোলাখুলি প্রশ্ন তুলে দেন কুমার শানু।
কুমার শানু জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র, মুম্বই ও মুম্বা দেবী তাঁকে এতদিনে অনেক সম্মান, যশ, খ্যাতি দিয়েছে। তাই মারাঠি ভাষাকে অপমান করার কথা তিনি ভাবতেও পারেননা।
দেশের অনেক ভাষাতেই তিনি গান গেয়েছেন। তিনি দেশের সব ভাষাকেই সম্মান করেন। শানু বলেন, গত ২৭ বছর ধরে তিনি ছেলের সঙ্গে থাকেন না। ছেলে থাকেন তাঁর মায়ের কাছে। তাঁর মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়ে বড় হয়ে উঠেছেন ছেলে জান।
বিগ বসের ঘরে জানের সঙ্গে নিক্কি তাম্বোলির কথা কাটাকাটির সময় জান কুমার শানু বলেছিলেন, নিক্কি যেন মারাঠি ভাষায় কথা না বলেন। কারণ মারাঠি ভাষায় কথা তাঁকে বিরক্ত করে। সাহস থাকলে নিক্কি যেন হিন্দিতে কথা বলেন।
এই এপিসোড টেলিকাস্ট হওয়ার পরই বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মারাঠি ভাষাকে অপমান করা হয়েছে বলে সুর চড়ান। বিষয়টি দ্রুত অন্য মোড় নেয়।
জান কুমার শানুর মা রীতা ভট্টাচার্যও এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন মারাঠি ভাষাকে অপমান করার প্রশ্নই উঠছে না। তাঁর ছেলে মারাঠি ভাষা বোঝেন না। আর নিক্কি ও রাহুল মারাঠিতেই কথা বলছিলেন জানের সামনে। তাই জানের মনে হয়েছিল তাঁকে নিয়েই ওঁরা কথা বলছেন। সেজন্য মারাঠি ভাষায় না বলে হিন্দিতে কথা বলতে বলেন জান। সকলকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন রীতা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা