এবার প্রয়াগরাজে হচ্ছে কুম্ভমেলা। এবার অর্ধকুম্ভ। কুম্ভমেলা উপলক্ষে সেখানে এখন মানুষের মাথা আর মাথা। বালির চড় ধরে শুধু মানুষের পথ চলা। ভক্তিমূলক সঙ্গীত। হাজার হাজার তাঁবু। আর পথপাশের লঙ্গর। কনকনে ঠান্ডা। তবু মানুষের খামতি নেই। অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে সদ্যোজাত। সকলেই হাজির কুম্ভে। অনেক বয়স্ক মানুষ চলেছেন ছেলে বা আত্মীয়ের পিঠে চেপে। শিশুরা কোলে। পুণ্যলাভের আশায় কুম্ভমেলার প্রাঙ্গণে হাজির সকলে। অনেক এসেছেন চেনা পরিচিতদের সঙ্গে। অনেক তাঁবুতে চলছে রান্নাবান্না। ৭৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে চলা। তারপর যেখানে সেখানে বিশ্রাম। কুম্ভের প্রাঙ্গণে ধনী দরিদ্র মিলেমিশে একাকার।
মঙ্গলবার মকরসংক্রান্তি। সেই মহা লগ্নে হবে শাহি স্নান। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত রয়েছে ভাল সময়। শাহি স্নানের উপযুক্ত সময়। তবে ডুব কিন্তু শুরু হয়ে গেছে সোমবার থেকেই। কাতারে কাতারে মানুষ এদিন স্নান করেছেন। আর মঙ্গলবার যে সংখ্যায় মানুষ জলে ডুব দেবেন তার সংখ্যা নির্ধারণই কঠিন কাজ। কুম্ভমেলা উপলক্ষে কোটি কোটি মানুষ হাজির হন প্রয়াগরাজে। এত মানুষের সমাগম। ফলে সুরক্ষা বন্দোবস্তও আঁটসাঁট। তেমনই রয়েছে আলোর বন্দোবস্ত। রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। ব্যবস্থা ভাল ভাবেই সেরে রেখেছে প্রশাসন। স্নানের জায়গাগুলিতেও রয়েছে নজরদারি। যাতে কোনও অঘটন না ঘটে। ভোর হওয়ার আগে থেকেই স্নান শুরু হবে। চলবে দিনভর। গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গম এই প্রয়াগরাজ। ত্রিবেণী সঙ্গম। এখানে কুম্ভ মেলার সময়ে জীবনে অন্তত একবার ডুব দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন ভারতের বহু মানুষ। ছুটে আসেন অনেক কষ্ট, ত্যাগ সহ্য করে। পুণ্য অর্জনের আশায়। অমৃত কুম্ভের সন্ধানে!