এ যেন স্বপ্ন পূরণের আনন্দ। জলের মধ্যে কেউ হাসছেন। কারও চোখে জল। কেউ কীভাবে স্নান করবেন ভেবে পাচ্ছেননা, কেউ একাগ্র চিত্তে এক বুক জলে নেমে ডেকে চলেছেন ঈশ্বরকে। কোথাও আবার সকলে মেতে উঠেছেন একে অপরের সঙ্গে জলকেলিতে। কিন্তু কেউই বিশ্বাস করতে পারছিলেন আখড়ার সদস্য হিসাবে তাঁরা কুম্ভে স্নান করছেন।
বহু লড়াইয়ের পর অবশেষে এবার প্রয়াগরাজ কুম্ভে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য স্নানের অনুমতি পেয়েছে বৃহন্নলাদের কিন্নর আখড়া। মকরসংক্রান্তিতে জুনা আখড়ার সঙ্গেই তারা শাহি স্নানে উপস্থিত হয়। স্নান গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমে।
বৃহন্নলাদের আখড়াকেও শাহি স্নানে অনুমতি দিতে হবে। এই দাবিকে সামনে রেখে বছরের পর বছর অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী। অবশেষে মিলল সাফল্য। বৃহন্নলাদের আখড়া পেল শাহি স্নানের অনুমতি।
অন্য সাধুদের সঙ্গে তাঁরা একসঙ্গে স্নান করলেন। আর সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমালেন কুম্ভের প্রাঙ্গণে। উঠল ছবি। আর বিভোর হয়ে প্রতিটি ক্ষণ জলে উপভোগ করলেন বৃহন্নলারা।
অনেকেই মনে করছেন ভারতে এক নতুন যুগের সূচনা করল বৃহন্নলাদের আখড়ার এই কুম্ভে শাহি স্নান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা