মঙ্গলবার মাঘী পূর্ণিমা। পুণ্য তিথি। কুম্ভমেলা চলছে। তাই এই দিনটার মাহাত্ম্য প্রয়াগরাজের সঙ্গমে পুণ্যস্নানে হাজির হওয়া মানুষের কাছে প্রশ্নাতীত। ফলে কুম্ভে এদিন স্নানে হাজির ছিলেন কোটির ওপর মানুষ। একদিনে ১ কোটির ওপর মানুষ কুম্ভে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর সঙ্গমে ডুব দেন। এবার কুম্ভে এটা ছিল পঞ্চম শাহীস্নান। কুম্ভ শুরুই হয়েছিল মকরসংক্রান্তির শাহীস্নান দিয়ে। আর কুম্ভ চলাকালীন শাহীস্নানের দিন পড়া মানেই সেখানে পুণ্যার্থীর সংখ্যা কোটি পার হওয়া।
কুম্ভে মাঘী পূর্ণিমার শাহীস্নান করতে গত সোমবার রাত থেকেই লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রয়াগরাজের কুম্ভনগরে হাজির হতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ দর্শক থেকে বিদেশি পর্যটক সকলেই। এভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের একটি চত্বরে জড়ো হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখাও একটা বড় দায়। সেই দায়িত্ব পুলিশ যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গেই পালন করে এদিন। বন্দোবস্তও ছিল পাকা।
৯৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ৪৪০টি সিসিটিভি-র সাহায্যে পুরো মেলার প্রাঙ্গণের ওপর কঠোর নজর রাখে পুলিশ। এদিন সুরক্ষা বন্দোবস্ত আরও নিশ্ছিদ্র করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে পুলওয়ামা হামলার পর কুম্ভে সুরক্ষা বন্দোবস্তে আরও যেন বাড়িয়েছে প্রশাসন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)