কালী ঘাটের জলে আলোর খেলায় অজানাকে জানবেন পুণ্যার্থীরা
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মেলা। সর্ববৃহৎ মিলন উৎসব। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের এবার যেন অন্যই জৌলুস। যেখানে নানা অভিনবত্বের একটি হতে চলেছে কালী ঘাটে আলোর খেলা।
কুম্ভমেলা সম্বন্ধে দেশ নয়, বিদেশও পরিচিত। নানা দেশ থেকে কুম্ভমেলায় হাজির হন বিদেশিরা। দেখে যান বিশ্বের সর্ববৃহৎ মেলা, সেখানে উপস্থিত মানুষের ভক্তি, বিশ্বাসের বিরল গাথা। এবার প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ।
যা অবশ্যই দেশ বিদেশের মানুষের কাছে আলাদাই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। শুরুর আগেই সেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমছে। মেলা চলাকালীন ৪৫ কোটি মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
এবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে পরিচিত ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান, আখরা, সাধু সন্তের সঙ্গলাভ ও আশির্বাদ লাভ ছাড়াও রয়েছে অনেক অভিনব আকর্ষণ। তারই একটি যমুনা নদীর জলে একটি লেজার শো। যা প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে পুণ্যার্থীদের জন্য।
এই লেজার শোটি ৪৫ মিনিটের হবে। আয়োজিত হবে প্রয়াগরাজে যমুনা নদীর কালী ঘাটে। সেখানেই নদীর জলের ওপর হবে এই আলোর খেলা। যা কুম্ভের নানা গাথা তুলে ধরবে সকলের সামনে।
এই লেজার শোয়ের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী নন্দ গোপাল গুপ্ত নন্দী। যে সংস্থা এটি তৈরি করেছে তারা ৬০ দিনে এটিকে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তৈরিতে খরচ হয়েছে ২২ কোটি টাকা। ১০০ জন বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টায় তৈরি এই লেজার শো মহাকুম্ভে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে সন্দেহ নেই।
অযোধ্যা এবং ঝাঁসিতে এই সংস্থাই লেজার শো নির্মাণ করেছিল। তারাই মহাকুম্ভের এই লেজার শো-এর মধ্যে দিয়ে কুম্ভমেলার নানা কাহিনি তুলে ধরবে।
প্রসঙ্গত প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। শাহি স্নান থাকবে ৩ দিন। ১৪ জানুয়ারি মকরসংক্রান্তির দিন, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার দিন এবং ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তপঞ্চমীর দিন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা